সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একাই লড়াই করছেন সালমান খান। সন্ত্রাসীদের গুলিও গায়ে লেগেছে তার। শেষটাই জীবন নিয়ে কোনো রকমে পালিয়েছেন। তবে এসবই সিনেমায় দৃশ্য। বাস্তবে এমনটি নিশ্চয় চাইবেন না কেউই। না চাইলেও গত ১৪ এপ্রিল বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে দেখতে হয়েছিল এমন দিন। যেদিন রাতে পার্টি করে দেরিতে ঘুমাতে গিয়ে ঘুম ভেঙেছিল গুলির শব্দে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৪ এপ্রিলের ঘটনা নিয়ে সালমান পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই বাইকার মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় তার বাড়িতে গুলি চালায়। পরে গুলির শব্দে জেগে উঠে বারান্দায় গিয়ে তিনি কাউকে দেখতে পাননি।
এরইমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তারও করেছে তারা। পুলিশের দাবি লরেন্স বিশনোইয়ের দল দ্বারা ভাড়া করা বন্দুকধারীরা বলিউড অভিনেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল।
এ ঘটনার পর গত ৪ জুন মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একজন অফিসার সহ চার সদস্যের একটি দল সালমান খানের বাড়িতে গিয়ে সালমান এবং তার ভাই আরবাজ খানের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। এ সময় তাদের দুজনকে ছয় ঘণ্টা জেরা করা হয়। সালমান খান পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তার জীবন বিপদে রয়েছে। এবং সাহায্যের জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গুলি চালানোর সময় সালমানের জুহুর বাসভবনে থাকা আরবাজ খান পুলিশকে জানিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে আগেও তার ভাইকে হুমকির দেওয়া হয়েছিল। যা তিনি জানতেন। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ দুই ভাইকে ১৫০ টিরও বেশি প্রশ্ন করেছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকি গুপ্তা এবং সাগর পালকে গুজরাটে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং অনুজ থাপানকে গত ২৬ এপ্রিল পাঞ্জাবে অন্য একজনকে আটক করা হয়েছিল। যার মধ্যে অনুজ থাপান পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন।
পুলিশের মতে, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং মহারাষ্ট্রের পানভেলে সালমান খানের গাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল। যেখানে তার একটি খামারবাড়ি রয়েছে। ওই গ্রুপের পরিকল্পনা ছিল সালমান খানের গাড়িতে অতর্কিত হামলা করা বা তার খামারবাড়িতে হামলা করা।
খুলনা গেজেট/এনএম