খুলনার সেই আলোচিত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের মেয়ে জান্নাতুল নওরিন এশা (২২) ভিডিও লাইভে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার মা। আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিজেকে এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে জান্নাতুলের মা সানজিদা নাহার বলেন, জান্নাতুল এরশাদ শিকদারের মেয়ে। প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছে।
তবে সনজিদা নাহার কীভাবে জানলেন লাইভে জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। জান্নাতুল উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর আর কলেজে ভর্তি হননি বলে জানান মা।
পুলিশ জানায়, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের নবম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে জান্নাতুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, জান্নাতুল খুলনার এরশাদ শিকদারের মেয়ে।
প্লাবন ঘোষ নামের এক তরুণের সঙ্গে জান্নাতুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানান সানজিদা নাহার। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে প্লাবনের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হয় জান্নাতুল। পরে জান্নাতুলকে বাসার নিচে নামিয়ে দিয়ে যায় প্লাবন। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
বাসায় ফিরে এসে জান্নাতুল নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন জানিয়ে তার মা বলেন, সকালে মেয়ের কক্ষের দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না পেয়ে তিনি নিরাপত্তাকর্মীর সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। সেখানে জান্নাতুলকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
জান্নাতুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
২০০৪ সালে খুলনায় হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।