গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিট থাকছে না। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুচ্ছ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়েছে। বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরীক্ষা শেষে বিভাগ পরিবর্তনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কিভাবে ভর্তি নেওয়া হবে, তা স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটের বিষয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু আলোচনা হয়েছে। তবে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট না রাখার কথাই বহাল রয়েছে।’
ড. মো. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা শুধু একটি পরীক্ষা নেবো। সেখানে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। এই নম্বরের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভাগ পরিবর্তনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কিভাবে ভর্তি করাবেন, সেই সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।’
গুচ্ছ পদ্ধতিতে আবেদনের যোগ্যতা প্রসঙ্গে এই শিক্ষক বলেন, ‘আমরা চাই এবার যেন বেশিরভাগ অংশ আবেদন করতে পারে। সেজন্য আবেদনের যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ আবেদন করতে ৭ পয়েন্ট লাগবে। কমার্সের ক্ষেত্রে সাড়ে ৬ লাগবে।’ আর মানবিকের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ৬ থাকতে হবে বলেও তিনি জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ফি লাগবে না। এরপর আবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত সংখ্যক প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। যোগ্য প্রার্থীরা ৫০০ টাকা ফি দিয়ে আবার আবেদন করবেন এবং এসব প্রার্থীই ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যাবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সুবিধামতো কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/কেএম