আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন রক্ষা সম্মিলিত নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে গিলাতলা ইউনিয়নকে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্ত না করার দাবিতে ইউনিয়নবাসী সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাট করেন ইউনিয়ন রক্ষা নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল সাত্তার মোল্লা, মোল্যা সোহরাব হোসেন, শেখ আসলাম হোসেন, কাজী আজাদুর রহমান হিরোক, ইউপি সদস্য শেখ আব্দুস সালাম, মাহমুদ হাসান, মোঃ হুমায়ুন কবির, বখতিয়ার পারভেজ, আম্বিয়া বেগম, বাবুল আকতার, রিয়াজ উদ্দীন, পায়রা বেগম, শেখ শাহিন রহমান, পলাস হোসেন, কামরুল ইসলাম, রুমা পারভিন, বাবুল রেজা প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফুলতলা উপজেলার মধ্যে ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের বসবাস এবং প্রায় ৪২ হাজার ভোটার। ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ পাটকল শ্রমিক ও কৃষি কাজের উপির নির্ভরশীল। সরকারি পাটকলগুলি বন্ধ এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকল গুলিও বন্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা ফসলের জমিতে চাষাবাদ করতে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ইউনিয়ন এলাকার অধিকাংশ মানুষই বেকারত্ব জীবনযাপন করছে। ইউনিয়নের ৭০ ভাগ মানুষ বর্তমানে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। ফলে খুলনা সিটি কর্পোরেশন হলে ৭০ ভাগ মানুষের পক্ষে কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কর, খাজনা, হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি দিতে কঠিন হয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে উন্নয়নের দিকে ক্রমেই ধাবিত হচ্ছে, যার কারণে ইউনিয়নের মানুষ ৮ প্রকার ভাতার সুবিধা পাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরের সুবিধাই রুপান্তরিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি রাস্তা, কালভার্ট, সুপিয় পানির ব্যবস্থা, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জাসহ গ্রামীণ উন্নয়নে যোগাযোগ ও ছোটবড় শিল্প কলকারখানা করার উদ্যোগ বা কর্মসূচীকে আমরা সঠিক মনে করি এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনাকে আমরা সমর্থন করি। এ লক্ষ্যে ইউনিয়নবাসী সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানান। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা জেলা প্রসাশকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম