সোমবার ২৮ নভেম্বর সকাল ১১টায় মোংলা বন্দরের সভাকক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বারভিডার মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বারভিডা কর্তৃক মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বন্দরের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মোংলা বন্দরের বৃহৎ অংশিদার হিসেবে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সুবিধা এবং সমস্যাসমূহ নিয়ে আলোচনার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও সরকারের দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার ফলে ৮,৯০০ টি গাড়ি আমদানির মাধ্যমে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এ বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বাড়তেই থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সর্বোচ্চ ২০,৮০৮ (বিশ হাজার আট শত আট) টি গাড়ি আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে।
আলোচনা সভায় বারভিডা সভাপতি মো: হাবিব উল্লাহ ডন বক্তব্যের শুরুতেই বন্দরের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা এখন আর মোংলা বন্দরে ঘটে না। তিনি আরো জানান, আমদানিকৃত গাড়ির প্রায় ৮০% গাড়িই এখন মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়।”
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, “আমদানিকৃত গাড়ির শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দায়িত্ব মোংলা বন্দরের। আপনাদের কোন ধরণের অভিযোগ থাকলে আমাকে সরাসরি লিখিত জানাবেন আমরা সাথে
সাথে ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরো বলেন, ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় এখন মোংলা বন্দর থেকে ঢাকায় যেকোন পণ্য পরিবহণে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কি. মি., সেখানে ঢাকা থেকে মোংলা
বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কি. মি.। ফলে তুলনামূলক একটি গাড়ি বন্দর থেকে খালাসের পর খুবই কম সময়ে, ও স্বল্প খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হবে বিধায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ ওয়াসিম/ টি আই