বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দলটি। দলের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ২৯ নেতা কাউন্সিলর পদে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের সবাইকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ওই পত্রে বলা হয়, ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যাঁরা কাউন্সিলর হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হলেও সংশ্লিষ্ট নেতারা কোনো সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে বরং নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত রয়েছেন। দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২৯ নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের নিয়ে ৬ মে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিএনপির ২৪ নেতা-কর্মী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আজীবন বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ। তাঁরা সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী। বাকি চারজন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন গাজীপুর সদর থানা বিএনপির সভাপতি মজিবর সরকার; সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক হাসান আজমল ভূঁইয়া; সদর থানার বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হান্নান মিয়া; বাসন থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন; টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিউদ্দিন আহম্মেদ; মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার; পুবাইল থানা বিএনপির সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম; পুবাইল থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সুলতান উদ্দিন; সদর থানা বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রশিদ খান; সদর থানা বিএনপির সদস্য সবদের আহাম্মদ, খায়রুল আলম, জি এস মনির, শহিদুল ইসলাম, তানভির আহমেদ, শাহিন আলম, আনোয়ার সরকার, রফিকুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এইচ