অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই শ’ ৩০ জন। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারী রয়েছেন। এছাড়া হামলায় প্রায় এক হাজার সাত শ’ ১০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
এদিকে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয় দফতর (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে অন্তত ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ওসিএইএ মুখপাত্র জ্যা লার্কে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত ৪৭ হাজার মানুষ জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত ৫৮টি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। অপরদিকে ২৮ হাজার সাত শ’ ব্যক্তিকে গাজার অন্য পরিবারগুলো আশ্রয় দিয়েছে।
অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল ইসরাইলি আদালতের আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।
মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে শত শত রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। সূত্র : আলজাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সি
খুলনা গেজেট/কেএম