ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে দখলদার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)।
আদালত ইসরাইলকে গণহত্যা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গণহত্যা করবে না। ইসরায়েলকে এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নৃশংস গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় এ রায় দেয় আইসিজে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় এই রায় পড়া শুরু হয়। রায়ে মামলা বাতিলে ইসরায়েলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
আদালত বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে গাজায় বিপুল সংখ্যক মৃত্যু ও আহত হয়েছে।
আইসিজে’র বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি বিচারক ডনোগু বলেছেন, এই রায় ইসরায়েলের জন্য আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে এই রায় দিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
বিচারক ডনোগু বলেছেন, আদালত নোট করেছে যে, ইসরায়েল দ্বারা পরিচালিত সামরিক অভিযানের ফলে প্রচুর সংখ্যক মৃত্যু এবং আহত হয়েছে, সেইসঙ্গে ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ গণহত্যা কনভেনশনের বিধানের মধ্যে পড়ে। গণহত্যা মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
ডনোগু বলেন, জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনিরা সুরক্ষিত গোষ্ঠী। আদালত ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলার রায়ে বিচারকদের পর্যবেক্ষণে এসব বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। নির্বিচারে বোমা হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে এই মামলা দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৬টায়) এই রায় ঘোষণা শুরু করে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত।
খুলনা গেজেট/ টিএ