ফিলিস্তিনের গাজায় কয়েক দিনের চলমান অবরোধ এবং বিরামহীন ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, যুদ্ধেরও এক ধরনের নৈতিকতা রয়েছে। এ ধ্বংসযজ্ঞ যুদ্ধের নৈতিকতাবিরোধী। গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ও বোমা হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলেছেন এরদোয়ান। খবর আলজাজিরার।
গত বুধবার পার্লামেন্টে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, আমরা প্রকাশ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে বেসামরিক নাগরিক হত্যার বিরোধিতা করি। একইভাবে আমরা কখনোই গাজায় নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচার হত্যাকে মেনে নেব না। অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া এবং বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংসের প্রসঙ্গ টেনে এরদোয়ান বলেন, ‘মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধা দেওয়া ও বেসামরিক মানুষজনের ঘরবাড়িতে বোমা হামলা করা যুদ্ধের লজ্জাজনক অপকৌশল। এটি যুদ্ধ নয়, এটি একটি ধ্বংসযজ্ঞ। তুর্কি নেতা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং সতর্ক করেছেন, গাজায় এমন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হামলা বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখে ইসরায়েলকে একটি অপ্রত্যাশিত অবস্থানে ঠেলে দিতে পারে। বেসামরিক বসতিতে বোমাবর্ষণ, এ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা নিয়ে আসা যানবাহনকে অবরুদ্ধ এবং এসব কিছুকে একটি দক্ষতা হিসেবে উপস্থাপন করা শুধু একটি গোষ্ঠীর প্রতিফলন হতে পারে, কোনো রাষ্ট্রের নয়।
একই সঙ্গে ইসরায়েলসহ আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে দেশটি একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘তুরস্ক বিবদমান গ্রুপগুলোকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানায়। আমরা চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং গ্রুপগুলোর মধ্যে সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক। আমরা চাই না গাজা, ইসরায়েল, সিরিয়া বা ইউক্রেনে শিশু, বেসামরিক মানুষ এবং নিরপরাধ মানুষ মারা যাক এবং আমরা আরও রক্তপাত চাই না।’
খুলনা গেজেট/এইচ