ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থেমে নেই ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও এক নাতিসহ ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৬ জন। বুধবার (১০ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ এপ্রিল) আল জাজিরা আরবিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে, হানিয়াহ জানিয়েছেন, তার সন্তান হাজেম, আমির এবং মোহাম্মদসহ তার এক নাতি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।এর আগে, গত বছর ১৬ নভেম্বর গাজায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। খবর জিও নিউজ।
বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে এক ঘোষণায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধানের বাড়িতে হামলা চালাতে জঙ্গি বিমান ব্যবহার করেছে।
হানিয়ার বাড়িটি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হতো’ বলে অভিযোগ করেছে আইডিএফ।তারা বলেছে, ‘হানিয়ার বাড়ি সন্ত্রাসী অবকাঠামো হিসেবে ব্যবহার করা হতো আর প্রায়ই সেটি ইসরায়েলের বেসামরিক ও আইডিএফ সেনাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ হামাস নেতাদের বৈঠক স্থলের কাজ করতো।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ইসরায়েলের এসব অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
হানিয়াকে ব্যাপকভাবে হামাসের সামগ্রিক নেতা বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। তবে কয়েক বছর ধরে তিনি কাতারে বসবাস করছেন।
২০০৬ সালে হানিয়াকে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু ২০০৭ সালে হামাস প্রাণঘাতী এক সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আব্বাসের ফাতাহ পার্টিকে গাজা থেকে হটিয়ে দেয়। এরপর আব্বাস হানিয়াকে বরখাস্ত করেন। আব্বাসের এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ অভিহিত করে নাকচ করে দেন হানিয়া।
খুলনা গেজেট/কেডি