৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রায় ৭ মাসে গাজায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪২ জনে। এছাড়া ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন আরও অন্তত ২০ জন সাংবাদিক।
৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি করে শুক্রবার (৩ মে) এক বিবৃতি জরি করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য।
এদিকে ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত সংবাদিকদের মধ্যে ১০৭ জনের নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০০ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন লেবানিজ এবং ৪ জন ইসরায়েলি।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সর্বশেষ নিহত সাংবাদিকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে গাজার মিডিয়া দপ্তর। নিহত ওই সাংবাদিকের নাম সালেম আবু তোয়োর। আল-কুদস টুডে নামের একটি স্থানীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক ছিলেন তিন।
গত ৭ অক্টোবর গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এ সময় ওই শিবিরের কাছে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আবু তোয়োর। ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে সপরিবারে নিহত হয়েছেন তিনি।
শুক্রবারের বিবৃতিতে সাংবাদিক হত্যা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোকে ইসরায়েলের সরকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘পরিকল্পিত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘গাজায় সামরিক অভিযানের নামে যে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী, সেই গণহত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যা করা হচ্ছে সাংবাদিকদের।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর।
খুলনা গেজেট/এএজে