ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গাছ কেটে মুক্তমঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের মাঝামাঝি থাকা তিনটি গাছ কাটা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা জায়গা থাকায় গাছ কাটার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে গাছ কাটা হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষার কথা চিন্তা করেও মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা প্রয়োজন। নয়তো আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
এদিকে গাছ না কাটার অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, প্রকৌশল দপ্তর ও প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য। সংগঠনটির সভাপতি ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, আমরা আবেদন করার সময় একটি গাছ কাটা বাকি ছিল। সেটা আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের মর্মাহত করেছে।
পরিবেশবাদী আরেক সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন বলেন, আমরা প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলার পরেও গাছ কাটা হয়েছে। এমন মঞ্চ আমরা চাই না। গাছ রেখেও মঞ্চ বানানো সম্ভব, তবে কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে উদাসীন। তাই এসব সিদ্ধান্ত নিতে তাদের চিন্তার প্রয়োজন পড়ে না ।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদ রহমান বলেন, ২৪ বছর আগে আমি এই গাছগুলো লাগিয়েছিলাম। তা আজ ডালাপালায় সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। কিন্তু আজ শুনলাম সেগুলো কাটা হচ্ছে। এটা খুবই বিব্রতকর।
প্রধান প্রকৌলশী (ভারপ্রাপ্ত) কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, ওই জায়গায় মঞ্চ তৈরিতে গাছ কাটা ছাড়া উপায় ছিল না। আর গাছগুলো মরা। যে কোনো সময় ডাল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। গাছ রেখে মঞ্চ করলে শিকড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেই গাছ কাটা হয়েছে। কাজের প্রয়োজনে গাছ কাটাই লাগে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে গাছ লাগানো হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি