চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আলেয়া বেগম (৫৩) নামের এক গৃহবধূ ধারালো বটি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার সকালে মহেশপুর উপজেলার পদ্মাপুরে তার পিতার বাড়ি এঘটনা ঘটে।
নিহত আলেয়া বেগম মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত হাজী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের মেয়ে ও জীবননগরের বাঁকা আশতলাপাড়ার শামসুল হকের স্ত্রী।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত স্টোর কিপার আশতলাপাড়া গ্রামের শামসুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৩) দীর্ঘদিন ধরে মানষিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। তাকে পরিবারের পক্ষ সুস্থ করে তুলতে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে কখনই পুরোপুরি সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় গৃহবধূ আলেয়া বেগম কয়েক দিন আগে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামে তার পিতার বাড়িতে যান। গৃহবধূ আলেয়া বেগম পদ্মপুকুরে অবস্থান করার সময় সোমবার ভোরের দিকে ধারালো বটি দিয়ে তার গলার দু’পাশে পোঁচ দিয়ে নিজেকে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আলেয়া বেগম মারা যান।
জীবননগর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, গৃহবধূ আলেয়ার গলার দু’পাশে বড় ধরনের জখম হওয়ায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলেয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুর উপজেলায়, তবে পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।