কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গরুতে পাটগাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
বুধবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভুরকাপাড়া এলাকার হাটখোলাপাড়া গ্রামে সরদার গ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই এলাকার ভেলশ মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২)।
আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সরদার গ্রুপের ফরিদ খসরুর গরু বজলু মালিথার ক্ষেতের পাটগাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সরদার গ্রুপের উজ্জ্বল সর্দারের নেতৃত্বে মালিথা গ্রুপের ওপর হামলা চালানো হয়। সর্দার গ্রুপের লোকজন মালিথা গ্রুপের লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এতে ভেলশ মালিথা ও বজলু মালিথার মৃত্যু হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে চারজনকে ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দৌলতপুর থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, গরুতে জমির পাট খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি