গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবেশি সবাই চুল ঘামা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে যেসব মেয়েদের চুল লম্বা তাদের সমস্যাটা একটু বেশিই হয়। অঝোর ধারায় ঘাম হতে থাকে। সেই ঘাম বসে গিয়ে জ্বর বা সর্দি হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। আবার চুল কাটতেও খারাপ লাগে। কিন্তু ঘাড়ের মধ্যে ঘামে ভেজা চুল পড়ে থাকলে আরো অস্বস্তি হতে থাকে। এর সঙ্গে বেড়ে যায় চুলের পড়ার সমস্যাও। এ সময় চুলের যত্নে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন।
যেমন-
১. দৈনন্দিন কাজের জন্য শরীরের যেমন পুষ্টি বা খাবার দরকার তেমনি তেল হলো চুলের খাদ্য। চুলকে তার খাবার না দিলে সেটা দুর্বল হয়ে নিষ্প্রাণ হবেই। এজন্য সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাথার তালুতে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। তেল ফুটিয়ে নিয়ে হালকা গরম হলে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। আগের দিন রাতে তেল মেখে পরের দিন ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। এতে তেল অনেকটা সময় মাথার তালুতে থাকবে। মনে রাখবেন, মাখায় তেল দেওয়া চুল নিয়ে বাইরে বের না হওয়ায় ভালো। কারণ এতে ধুলো-ময়লা মাথার তালুতে আরও বসে যেতে পারে। মাথার তালু যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে হালকা নন স্টিকি তেল ব্যবহার করতে হবে ভালো ফল পাবেন।
২. সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন শ্যাম্পু করলে খুবই ভালো হয়। কারণ এ সময় মাথার তালু পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। শ্যাম্পু করলে ময়লা যেমন বসতে পারে না চুলে, তেমনি অতিরিক্ত তেলও যায়। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
৩. কাজের চাপে অনেকে ঠিকমত চুল আঁচড়াবার সময় পান না। কিন্তু মনে রাখবেন, এটাও চুল ভালো রাখার একটা উপায়। এতে ম্যাসাজও হয়ে যায় চুলে। সারাদিনের পর রাতে শোওয়ার আগে অন্তত একবার ভালো করে সময় নিয়ে চুল আঁচড়ান গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত। যত চুল আঁচড়াবেন তত রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে চুলে। এতে ঘাম যেমন কম হবে তেমনি ময়লাও অনেকটা বেরিয়ে যাবে। মস্তিষ্কের নার্ভগুলিও ভালোভাবে কাজ করবে। ওপর নীচ সবদিক থেকে চিরুনি টানুন।
খুলনা গেজেট/এনএম