রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য বোঝাই রাশিয়ান জাহাজ সে দেশে ফিরে গেলেও খাদ্য শস্য আসতে বাঁধা নেই। ২১ হাজার মেট্রিকটন গম নিয়ে রাশিয়ার আরও একটি জাহাজ শুক্রবার মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গম বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে পৌঁছাবে। ফলে ওএমএসের মাধ্যমে আটা বিক্রিতে সংকট হবে না।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে গমবাহী রাশিয়ার ৬টি জাহাজ মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। চলতি অর্থ বছরের শুরুতেই গত মাস পর্যন্ত এক লাখ ২৬ হাজার মেট্রিকটন গম এ বন্দরে এসেছে। ফলে দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন সরকারি গুদামে গম রাখার জায়গা সংকট পড়েছে।
বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৫ হাজার মেট্রিকটন পন্য নিয়ে জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারছে না। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে পশুর নদীতে ভাটার সময় নাব্য সংকট থাকে। প্রতি বছর পলি অপসরণ হলেও গত দু’মাস পলি জমার পরিমাণ বেশী।
এদিকে খাদ্য চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ সংকট মেটাতে ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে সেদ্ধ নন বাশমতি চাল আসছে। এসব দেশ থেকে চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ টি জাহাজে ৬৩ হাজার ৭৫২ মেট্রিকটন চাল এসেছে।
রমজানের আগে খাদ্য সংকট মেটাতে দেশের ১ কোটি মানুষকে ওএমএসের মাধ্যমে ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া মজুদকৃত চাল জেলখানা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ফায়ার ব্রিগেড ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে।
চলাচল ও সংরক্ষক নিয়ন্ত্রক(খাদ্য) শেখ মশিয়ার রহমান জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট মেটাতে পরিকল্পিতভাবে চাল আমদানি করা হচ্ছে। দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই বলে তিনি দাবি করেন। সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে খাদ্যশস্য রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
খুলনা গেজেট /এমএম