বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীদের উপর গভীর রাতে মেসে ঢুকে সশস্ত্র হামলার চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার (১৭ ফেব্রয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর রূপাতলি হাউজিংয়ে শিক্ষার্থীদের মেসে মেসে গিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের শেরই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা জানান, অজ্ঞাত সংঘবদ্ধ প্রায় ৫০ জন লােক রড, লােহার পাইপ, রামদা নিয়ে তাদের হামলা করে। তারা বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সজল ও ফারজানা রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে বিআরটিসির কাউন্টারে যান। সেখানে কাউন্টার কর্মচারী রফিকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রফিক সজলকে ছুরিকাঘাত করে। লাঞ্ছিত করা হয় ফারজানাকেও। এ খবর শুনে রূপাতলী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযুক্ত বাস কাউন্টার কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার জেরে পরে রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
পরিচয় পাওয়া আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববদ্যিালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শেখ সজিব, রসায়ন বিভাগের শাহেদ পারভেজ তানিম ও সােহানুর সােহান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলীম সালেহী, গণিত বিভাগের রাজিব ও ফাহিম , মুক্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ইকবাল হাসান ও নুরুল্লা সিদ্দিকী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের জয় গুরুতর আহত হন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার বাড়ি যাবার জন্য বিআরটিসি বাস কাউন্টারে যায়। সেখানে বাস স্টাফের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সজলকে ছুরিকাঘাত করে রফিক। এছাড়া ফারজানাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। হামলার ঘটনার পর বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, আমাদের নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের উপর আমানবিক হামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। হামলার ঘটনার শুনার পর পরই থেকেই প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের পাশে আছে। হঠাৎ শিক্ষার্থীদের উপর কার এবং কেন এ হামলা হয়েছে? জানতে চাইলে ববি প্রক্টর বলেন, এখন পর্যন্ত এ হামলার মোটিভ সম্পর্কে জানা যায়নি। উপাচার্য স্যার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
খুলনা গেজেট/কেএম