লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ করে পোশাক কারখানা খোলা রাখার প্রতিবাদে সাভারে রাস্তায় নেমেছেন পোশাক শ্রমিকেরা। সোমবার সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে গণপরিবহন না পেয়ে হাজিরা কাটার ভয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা সমবেত হয়ে রেডিও কলোনি, শিমুলতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এই অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী অসংখ্য মানুষ। শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, কারখানায় বিলম্বে উপস্থিত হলে হাজিরা কাটা হয়। সরকার লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ করলেও পোশাক কারখানা খোলা রেখেছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কীভাবে কারখানায় যাবেন, সে ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন।
করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিন দিনের সীমিত লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। তৈরি পোশাক কারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনের চার নম্বর শর্তে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে পারবে।
শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় সহস্রাধিক তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক। হাতেগোনা বেশকিছু শিল্প-কারখানা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেওয়া করলেও বেশির ভাগ শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গণপরিবহনে কারখানায় যেতে হয়।
সোমবার সকালে ঘর থেকে বের হতেই শ্রমিকেরা গণপরিবহণ না পেয়ে হাজিরা কাটার ভয় সড়কে প্রথমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তাঁরা একজোট সড়কে নেমে অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাউকে দেখা যায়নি। ধীরে ধীরে সড়কের উভয়পাশে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হওয়ায় অফিস, হাসপাতাল কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ ছাড়াও পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকেরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
খুলনা গেজেট/এনএম