খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. এস এম শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম অস্তিত্ব থাকবে কিনা আজ সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবৈধ সরকারকে বিদায় করতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মাঠে নামতে হবে। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন হঠাতে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে, জনগনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকাল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ভোটাধিকারসহ সকল গনতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল খুলনা মহানগর ও জেলা কমিটি আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি এড. নেওয়াজ হালিমা আরলী খুলনা কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভার উদ্বোধক কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, দেশের কোন মানুষ এখন ভালো নেই। মানুষ খেতে পারছে না। টিসিবির ট্রাকের সামনে ভোর থেকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকছে ক্ষুধার্ত মানুষ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, গোটা দেশে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা চুরি করছে সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন করার ক্ষমতা আছে কি নেই পুলিশকে ব্যারাকে রেখে আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে তা বুঝতে পারবে। দেখতে পারবে আমরা কত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আর এদেশের জনগণ বিএনপিকে কত ভালোবাসে। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশনের ওপরই আমাদের আস্থা নেই। আমরা চাই নিরপেক্ষ একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা। সেটি হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। যে নির্বাচনে দেশের প্রতিটি মানুষ তার নিজের ভোট নিজে প্রয়োগ করতে পারবে। মামলা দিয়ে হামলা করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আমরা চাই এই সরকারের পতন। দেশের জন্য সবাই প্রয়োজনে এক সঙ্গে জীবন দিবো। এই অবৈধ সরকারকে হটাতে আরেকবার জীবন দিবো। আন্দোলনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো। সেই সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।
প্রধান বক্তা মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে গনতন্ত্র আজ নির্বাসিত, গোটা দেশ একটি কারাগারে পরিনত হয়েছে। এটা কর্মী সভা নয়; এটা সরকার পতনের সমাবেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে-এখন সামনে এগোনো ছাড়া আর কোন পথ নেই। দেশনেত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা পাননি। এই সরকারের আলমে পিতারা বাজার করতে পারছেন না, মায়েরা ক্ষুধার্ত সন্তানের মুখে খাবার দিতে না পেরে রান্নাঘরে কান্নাকাটি করেন। ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন, ঘরে ঘরে চাকুরি দিবেন বলে প্রচার করেছিলো আওয়ামী লীগ। কোথায় সেই ১০টাকার চাল? কোথায় সেই চাকুরী প্রশ্ন রাখেন সুলতানা আহমেদ।
ফিরোজা বুলবুল কলি’র সঞ্চালনায় কর্মসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, তরিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, কাজী মাহমুদ, আজিজুল হাসান দুলু, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, মিজানুর রহমান মিলটন, আজিজা খানম এলিজা, কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা ইসলাম, সামছুন্নাহার লিপি, নিঘাত সীমা, কোহিনুর বেগম, চমন আরা, রোকেয়া ফারুক, শাহানাজ সরোয়ার, কাওসারী জাহান মঞ্জু, শাম্মী আক্তার মনিসহ অনেকে।
খুলনা গেজেট/ টি আই