একাত্তর ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা এবং সংবিধান মেনে দেশে রাজনীতি করলে একে অপরের দূরত্ব কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের সহনশীল হতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের প্রশ্ন করতে চাই, ওনার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল। যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে, দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করি সবাই।
‘যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহুদলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে একে অপরের প্রতি সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবো আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিচারপতি দাবি জানান, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে কুশিলবদের বিচারে কমিশন হওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হেোসন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রেজাউল হাসান, বিচারপতি জেবি এম হাসান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি খিজির আহম্মেদ চৌধুরী, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার, বিচারপতি আশরাফুল কামাল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি