বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, বর্তমানে আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চরম সংকটাপন্ন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে ‘মাস্তানতন্ত্র’ কায়েম করা হয়েছে। প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রবিনাশী উৎপীড়ক শাসকগোষ্ঠী জনমতকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে।
ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরতে পারলেই আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার কণ্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি।
‘তিনি ছিলেন মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক আপসহীন যোদ্ধা।’ ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম তুর্যবাদক মওলানা ভাসানীর উদ্যোম ও সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলেই গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিবাদী ও আগ্রাসী শক্তিকে আমরা রুখতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবেন, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবেন, বলেন তিনি।
দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে এবং গণতন্ত্র ও জণঅধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার জীবন থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
খুলনা গেজেট / এমএম