গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেছেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ।
জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা ইয়ুথ লিডারশীপ প্রোগ্রামে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।
শনিবার (১৭ মে) সাতক্ষীরার আল আমিন ট্রাস্টে কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডাঃ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সহকারী সেক্রেটারী এড. আবু তালেব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, যুবকদের নিজেরে চেষ্টার পরে আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র—জনতার পাশাপাশি যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, যুবসমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখি, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুবসমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় রাতারাতি গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না।
জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুবসমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুবসমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমিরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুবসমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই বরং সত্যের পতাকা উড্ডীন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম