হাজারো গুণে সমৃদ্ধ আমলকি ফল। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। লো ক্যালরি, লো ফ্যাটের কারণে এই ফলের জুস প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে খুব ভালো। এটি একটি সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যকর ফল।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সুষম খাদ্য গ্রহণ, ইমিউনিটি ড্রিঙ্ক পান, শরীরচর্চা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে নজর দিচ্ছে মানুষ। এক্ষেত্রে আমলকি অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।তাহলে জেনে নেয়া যাক আমলকির গুণঃ
আমলকির জুস কেন খাবেনঃ
– প্রতিদিন সকালে কাঁচা আমলকি চিবিয়ে বা এর জুস বাড়িতে তৈরি করেও খেতে পারেন, অনেক উপকার পাবেন।
– আমলকির জুস রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
– ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগের ক্ষেত্রেও এই ফলের জুস অত্যন্ত কার্যকর।
– সকালের দিকে খালি পেটে এই ফলের জুস খেলে শারীরবৃত্তীয় কারণেই উপকার বেশি হবে এবং হজমশক্তিও বাড়বে।
– আমলকির জুস পান করলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ৪৬ শতাংশ ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন মিটবে, পাশাপাশি এতে তামাও রয়েছে। এই দুটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
– ফ্লু ও কফ দূর করতে আমলকির জুস বেশ শক্তিশালী ঘরোয়া ওষুধ। দুই চা চামচ আমলকির রস মধু দিয়ে প্রতিদিন খেলে কফ ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধ হয়।
– পানির মধ্যে এক চা চামচ রস নিয়ে দুই বেলা গার্গল করলে মুখের আলসার দূর হয়।
– নিয়মিত আমলকির জুস খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমে। এর মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
– ভিটামিন সি বাদেও এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের জন্য এটি একটি পুষ্টিকর পানীয়ও বটে।
– আমলার মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড ও প্রোটিন চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে; এটি চুলপড়া প্রতিরোধ করে।
– আমলকির রস তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগান। এতে দাগ, ব্রণ দূর হবে। এ ছাড়া আমলকির জুস মুখের ছিদ্রভাব দূর করে।
খুলনা গেজেট/নিপা