প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন খুলনা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন। তার প্রার্থীতা হাইকোর্টে বাতিল হলেও চেম্বার জজ আদালত থেকে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তার প্রার্থীতা বাতিল করে। এরপর চেম্বার জজের রায়ে মনোনয়নের বৈধতা পান শেখ আকরাম হোসেন। রায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য শেখ আকরাম হোসেনের মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ করে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসার খুলনাকে নির্দেশ প্রদান করে।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। ঋণ খেলাপির অভিযোগে খুলনা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে তিনি আপিল করেন। সেখানেও তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। পরে প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে তার রিট পিটিশন নম্বর ছিলো ১৬২৪১। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানী শেষে তার প্রার্থীতা বাতিল করলেও চেম্বার জজ আদালতে তিনি তার প্রার্থীতা ফিরে পান। খুলনা—৫ আসনে বর্তমানে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন এখন নির্বাচনী মাঠে। শেখ আকরাম হোসেনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় খুলনা-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে এলাকাবাসী ধারনা করছে।
এদিকে শেখ আকরাম হোসেন মনোনয়নপত্র ফিরে পাওয়ায় ডুমুরিয়া এবং ফুলতলা উপজেলায় তার সমর্থিত নেতা কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আর দুশ্চিন্তা ভর করছে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সমর্থিত নেতা কর্মী সমার্থকদের মাঝে।
খুলনা গেজেট/একরামুল হোসাইন লিপু