খুলনা প্রেসক্লাব আয়োজিত ওয়ালটন খুলনা প্রেসক্লাব মিডিয়া কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার লিগ পর্বের শেষ দিনে দারুণ জয় পেয়েছে মধুমতি চ্যালেঞ্জার্স ও শিবসা ওয়ারিয়র্স। সোমবার খুলনা জেলা স্টেডিয়াম মাঠে ম্যাচ দু’টি অনুষ্ঠিত হয়। দিনের প্রথম ম্যাচে মধুমতি চ্যালেঞ্জার্স ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে রূপসা টাইগার্সকে ও দ্বিতীয় ম্যাচে শিবসা ওয়ারিয়র্স ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে ভৈরব টাইগার্সকে পরাজিত করে। দিনের প্রথম ম্যাচে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দুই দল মধুমতি চ্যালেঞ্জার্স ও রূপসা টাইগার্স। ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলের এই ম্যাচে দারুণ জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখলো মধুমতি। আর আগেই ফাইনাল থেকে বাদ পড়লেও শিবসা ওয়ারিয়র্স ও ভৈরব রাইডর্সের মধ্যকার দিনের অপর ম্যাচটি ছিলো মর্যাদার লড়াইয়ের। ভৈরব রাইডার্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সে লড়াই জিতে নেয় শিবসা ওয়ারিয়র্স।
দিনের ম্যাচে আগে ব্যাট করে রূপসা টাইগার্স ১২.৫ ওভারে মাত্র ৬১ রান করে অল আউট হয়ে যায়। দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মধ্যেও একমাত্র ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন আগের দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তন্ময়। এদিনও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩০ বলে ২টি বাউন্ডারি ও সমান সংখ্যক ওভার বাউন্ডারি ছিলো তার ইনিংসে। দলের আর কোন ব্যাটসম্যান দুই অংকের কোটায় রান করতে পারেননি। প্রতিপক্ষের হয়ে দারুণ বোলিং করেন ফেরদাউস। ৭ রান খরচায় একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন উজ্জল ও প্রশান্ত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধুমতি চ্যালেঞ্জার্স ১৫.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের হয়ে হাসান ৫৮ বলে ২৪ ও মারুফ ৩৫ বলে ২৩ রান করেন। প্রতিপক্ষের বিমল নেন এক উইকেট। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের ফেরদাউস। এ ম্যাচে জয়ের ফলে টানা তিন ম্যাচ জিতে অপরাজিত অবস্থায় ফাইনাল খেলবে মধুমতি চ্যালেঞ্জার্স।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভৈরব রাইডার্স ১৯.৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে। মাত্র ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল প্রচন্ড চাপে পড়ে। সেখান থেকে রঞ্জু ও সাগরের ব্যাটে ভর করে ১০৯ রান করতে সমর্থ হয় তারা। রঞ্জু ৪৩ বলে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৪ রান। আর সাগরের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। শিবসা ওয়ারিয়র্সের হয়ে সমান ২টি করে উইকেট নেন মিলন, অনিক ও শাহীন। একটি উইকেট নেন টুটুল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনিক ও শান্ত’র দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ৮.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শিবসা ওয়ারিয়র্স। ওপেনিংয়ে নেমে অনিক মাত্র ৩৬ বলে অনবদ্য ৫৪ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ১০টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি ছিলো তার ইনিংসে। আর ২১ বলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। প্রতিপক্ষের একমাত্র উইকেটটি নেন বশির।
মঙ্গলবার একই মাঠে ফাইনালে মুখোমুখি হবে রূপসা টাইগার্স ও মধুমতি চ্যালেঞ্জার্স।
খুলনা গেজেট/এএমআর