খুলনা-মংলা ও রামপাল সড়কে প্রাইভেট ও মাইক্রোবাসের দ্বারা বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো উচিৎ বলে মনে করছে সচেতনমহল।
জানা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সময় প্রাইভেট বা মাইক্রোবাসযোগে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে। ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ব্যক্তিদের বাড়ি বিভিন্ন স্থানে হবার কারনে ঘটনাগুলি ধামাচাপা পড়ে যায়। তারপরও দু’-একটি ঘটনা সাংবাদিকদের কানে পৌছালেও ভিকটিম খুঁজে না পাওয়ার কারণে অথবা জিডি/ মামলা না হবার কারণে কুলকিনারা হয় না।
সম্প্রতি কুদির গাছতলা থেকে মংলা সড়কে বিক্ষিপ্তভাবে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে লোকমুখে জানা যায়। যে সব লোক ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে ঘটনার পরপরই নিজেদের নিরাপত্তা ও দ্রুত গন্তব্যে পৌছানোর তাড়নায় ঘটনা চাপা পড়ে। এর মধ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুই ছিনতাইয়ের ঘটনায় চুলকাঠি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরোক্ষভাবে অবহিত হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেটে যাত্রী হবার কারণে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে খুলনা গিলাতলা এলাকার এক ব্যক্তি। তিনি রামপাল জিরো পয়েন্ট থেকে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটে ওঠেন খুলনায় যাবার জন্যে। চুলকাঠি বাজার অতিক্রম করে মহিষ প্রজনন খামার থেকে ডানে ঢুকে পথিমধ্যে তাকে নামিয়ে দেয়। এর আগেই তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সে চুলকাঠি বাজারে এসে তার দুর্দশার কথা বলে। এ সময় চুলকাঠি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশকে দেখা যায় তার পাশে।
তারও সপ্তাহখানেক আগে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস রামপালের সোনাতুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক মুজিবরকে মহাসড়কে ভট্টবিজের নিকট থেকে তুলে নিয়ে তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। অন্যদিকে তার ইজিবাইকও ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায়ও চুলকাঠি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশকে তদন্ত করতে দেখা গিয়েছিল।
এর কিছুদিন আগে চুলকাঠি এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মামুন বিশ্বাস ও হুমায়ুন বিশ্বাস খুলনায় যাবার পথে কুদির গাছতলা সন্নিকটে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে দুইটি মোবাইল ও নগদ এগারো হাজার টাকা হারায়।
এ রকম অনেক ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রশাসনের নজরদারীর বাইরে রয়েছে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, এ সব ছিনতাইয়ের ঘটনা তার জানা নেই। তবে মহাসড়কে তিনি টহল বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম