বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে আত্মহত্যার পরিমান দিন দিন বাড়ছে। এটি একটি বড় সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্মাতা আসাদ সরকার নির্মাণ করেছেন ‘জীবন পাখি’ শিরোনামের চলচ্চিত্র। গত সোমবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এই সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা, বিকেল চারটা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত আটটায় এই প্রদর্শনী হয়েছে।
‘গুণবতী ফিল্মস’ এর ব্যানারে নির্মিত ‘জীবন পাখি’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল কালাম আজাদ, মীরাক্কেলখ্যাত আবু হেনা রনি, মোহনা, ক্লোজ আপ-ওয়ান তারকা মুহিন খান, কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা আইকিউএসির কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষার্থী মিম, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক সুমনা সরকার প্রমুখ।
বেলা সাড়ে ১২টায় প্রথম প্রদর্শনী শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষক তানভীর দুলাল বলেন, জীবনকে ভালোবাসার গল্প ‘জীবন পাখি’। আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরে আসার গল্প ‘জীবন পাখি’। উঠতি তরুণ-তরুণীদের ভুল ভাঙার গল্পনির্ভর এ সিনেমা। পৃথিবীরতে বাঁচতে হলে যে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয় সেটি এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে। এটি আমাদের সমাজের মানুষের মধ্যে এক ধরনের সচেতনা বৃদ্ধি করতে পারবে যা আত্মহত্যার পথ পরিহার করে জীবনকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করবে।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী পল্লী মঙ্গল বলেন, সিনেমাটি দেখে ভালো লেগেছে। এই সময়ের জন্য সিনেমাটি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। অনেকেই হতাশায় ভুগে জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়। তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আসলে মরে বাঁচা যায় না। এই সিনেমার মাধ্যমে এই চেতনতায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যা বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাজে লাগবে। সিনেমাটি সবার দেখা উচিত।
সিনেমাটি দেখার পর একই বিভাগের শিক্ষার্থী এমরাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ যখন চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে আত্মহত্যা করতে চায় তখন যদি বিষয়টি কারও সঙ্গে শেয়ার করার সুযোগ পায় তাহলে সে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে। এই সিনেমা থেকে দেখে দর্শকদের সেই উপলবদ্ধিটা হবে।