খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার কমেছে, বেড়েছে সুস্থতার হার । বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এই বিভাগে মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৩৯ জন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে ৩৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এ নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৩০১। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আসা নমুনা পরিক্ষার ফলাফলে নতুন করে করোনা শনাক্ত ৩৬ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় রয়েছেন ২ জন, যশোরে ১২ জন, ঝিনাইদহে ২ জন, খুলনায় ১০ জন, কুষ্টিয়ায় ৪ জন, মাগুরায় ২ জন ও নড়াইলে ৪ জন রয়েছেন। এই সময়ে বাগেরহাট, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
সূত্রমতে, বিভাগে এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৭৪৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া যশোরে ৪ হাজার ১৮৫ জন, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ৪৮০ জন, ঝিনাইদহে ২ হাজার ১১৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৫৩৬ জন, নড়াইলে ১ হাজার ৪৫০ জন, সাতক্ষীরায় ১ হাজার ১২০ জন, বাগেরহাটে ১ হাজার ১৪ জন, মাগুরায় ৯৭০ জন এবং মেহেরপুরে ৬৮৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা খুলনা গেজেটকে বলেন, এ বিভাগে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার প্রায় ৯৫ শতাংশ। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র আরও জানায়, বিভাগে করোনা সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪১১ জন। এরমধ্যে খুলনায় রয়েছেন ১০৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৮০ জন, বাগেরহাটে ২৬ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ জন, ঝিনাইদহে ৩৬ জন, যশোরে ৫০ জন, নড়াইলে ২০ জন, সাতক্ষীরায় ৩১ জন, মাগুরায় ১৩ জন এবং মেহেরপুরে ১৫ জন রয়েছেন।
খুলনা গেজেট / এআর