বিএনপি’র নগর শাখার আহবায়ক ও কেসিসির সাবেক কাউন্সিলর এস এম শফিকুল আলম মনা স্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেন নগরের নেতৃত্ব না মানলে শিঘ্রই থানা কমিটি বিলুপ্ত হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আন্দোলন তীব্রতর করতে গতিশীল নেতৃত্ব দিয়েই থানা, নগর ও জেলার পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠিত হবে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দেন। দলের জেলা ও নগর শাখা এর আয়োজক। নগর নেতা শফিকুল আলম মনা ভেদাভেদ ভুলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করতে বাইরে থাকা নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ বিএনপিই পারে জনগণের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে। ইতিপূর্বেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপিকে এগিয়ে নিয়েছি। তার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পুরণ হয়েছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে জনগণ ও সমর্থকদের বিভ্রান্তি দূর করতে আগামী কালের শোভাযাত্রায় দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ তিনি কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে বর্তমান নেতৃত্ব পিছপা হয়নি। সদ্য ঘোষিত কমিটিকে সাংবাদিকরা পকেট কমিটি বলে আখ্যায়িত করলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বরের জেলা ও নগর কমিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় হয়েছে ফলে এখানে কোন বিভ্রান্তি থাকার কথায় নয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য ডা: গাজি আব্দুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা শাখার আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল হাসান বাপ্পি, যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, নগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, অঙ্গ সংগঠনের আজিজুল হাসান দুলু, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, আজিজা খানম এলিজা ও তাঁতি দলের নিঘাত সীমা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার সদ্য ঘোষিত নগর ও জেলা কমিটির যৌথ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। আগামীকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম