খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, শত শত কোটি টাকা খরচ করে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও অপরিকল্পিত উন্নয়ন, খাল দখল ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় এই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পতিত সরকারের সাবেক মেয়র ৮২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছিলেন। বিগত সাড়ে পাঁচ বছরে প্রকল্পের আওতায় প্রায় ছয়শ কোটি টাকা খরচ করে নগরীর বিভিন্ন ড্রেন নির্মাণ ও সাতটি খাল খনন করলেও নগরবাসী কোন সুফল পায়নি। ফলে প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আষাঢ়ের শুরুতেই মৌসুমের প্রথম ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা। সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে নগরীর প্রধান সড়কগুলো হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে। নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকার বাসাবাড়ি-দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এত ড্রেন আর কালভার্ট হয়েছে, কিন্তু কোনোটা দিয়েই পানি নামে না। নগরীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম ২২টি খাল দখলমুক্ত ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তুহিন আরও বলেন, জলাবদ্ধতার মূল কারণ জনবান্ধবহীন মেয়র। পতিত সরকারের আমলের মেয়র দায়িত্বে থাকাকালীন কোনো পরিকল্পনা নিয়ে সাধারণ মানুষ মুখই খুলতে সাহস পেতো না। সাধারণ মানুষ কিছু বলতে গেলেই সাবেক মেয়র বলতো, এ ব্যাডা, তুমি বেশি বুঝো? শহরের ভৌগোলিক অবস্থান এবং পানি ওঠা-নামার সঙ্গে সংগতি না রেখেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল-বিল দখল এবং যত্রতত্র পলিথিন ফেলার কারণেও জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। খুলনা নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহনের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে জলবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে চলাচলকারী যানবাহন, ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে জলবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করেন। প্রয়োজনীয় লোকবল, স্কেবেটরের ব্যবস্থা করেন। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করেন। পাশাপাশি জলবদ্ধ মানুষের জন্য খিচুড়ি রান্না করার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি গাজী আফসার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো.আমিন আহম্মেদ, কাজী আব্দুল জলিল, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, আসাদুজ্জামান, মইনুল ইসলাম কিরণ, মোখলেসুর রহমান, এস এম জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সেলিম হোসেন মন্টু, জনি প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এএজে