খুলনার প্রবীণ সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না আর আমাদের মাঝে নেই। শনিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে খুলনা মহানগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন… আমরা তো আল্লাহর এবং আমরা আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ওয়াদুদুর রহমান পান্না, একাধিকবার খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘জন্মভূমি’ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক এবং নগরীর শিশু শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ জোহরা খাতুন কিন্ডার গার্ডেনের প্রতিষ্ঠাতা।
খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা জানিয়েছেন, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিক আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এরমধ্যে করোনা উপসর্গে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ বিকেলে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে খুলনা একজন প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিককে হারালো।
তিনি আরো জানিয়েছেন, মরহুমের মরদেহ রাতে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আগামীকাল সকাল ১০টায় জোহরা খাতুন স্কুলে এবং বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হবে। জোহরের নামাজের পর নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার মোড়ল বাড়ী জামে মসজিদের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে নগরীর বসুপাড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
বিভিন্ন মহলের শোক
কেসিসি মেয়র
খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না’র রূহের মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।তিনি মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
খুবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান প্রবীণ সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্নার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনাও জ্ঞাপন করেন। অনুরূপভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামীলীগ
মরহুমের মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, জেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত কুমার অধিকারী।
অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সাংসদ সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
বিএফইউজে ও কেইউজে
মরহুমের প্রতি সমবদেনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, কেইউজের সভাপতি মো: মুন্সি মাহাবুব আলাম সোহাগ, সহ-সভাপতি মো: হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্র নাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মো: সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নিয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হোসেন জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এসএম ফরিদ রানা।
বিএফইউজে ও এমইউজে
গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনার নেতৃবৃন্দ।বিবৃতিদাতারা হলেন এমইউজে খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, সহ-সভাপতি এহতেশামুল হক শাওন, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এহতেশামুল হক শাওন।
এছাড়াও অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন নন্দিনী সভাপতি মিনু মোমতাজ।
খুলনা গেজেট/এআইএন/নাফি