বহুল প্রতিক্ষীত খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (০২ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপরই ভোটগণনা। নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে আগামী ৪ বছর খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্বে থাকছে কাদের হাতে। এ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনার ক্রীড়াঙ্গনে সাজসাজ রব। বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
এবারের নির্বাচনে দু’টি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে ২৬টি পদে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। এই পদে লড়ছেন খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। দারা-শামীম-বাবলু-দোজা পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা। তিনি এর আগেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ সংস্থার নির্বাচনেও তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের সাথে ভোটের লড়াইয়ে টাই করেছিলেন।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অপর প্রার্থী হচ্ছেন খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান সহ-সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম। তিনি মনসুর-গোলাম-খোকন-সফিক-সাইফুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য ও খুলনা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি।
খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মোট কাউন্সিলর ২২৪ জন। এই ২২৪ জনই ভোটার। আগামী ৪ বছর খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্বে কারা থাকবেন তা ঠিক করবেন এই ২২৪ জন ভোটার।
নির্বাচনে ৪টি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে প্রার্থী ৮ জন। সহ-সভাপতি পদের প্রার্থীরা হলেন আবুল মনসুর আজাদ, এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা, মনিরুজ্জামান খোকন, কাজী শামীম আহসান, মামনুরা জাকির খুকুমনি, মোঃ গোলাম রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু ও সফিকুর রহমান। সংস্থার একটি অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রার্থী দুইজন। এরা হলেন মোঃ মোতালেব মিয়া ও শেখ হেমায়েত উল্লাহ।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দুইটি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন চারজন। এরা হলেন একরামুল কবীর মিল্টন, জি এম রেজাউল ইসলাম, মোঃ মোমতাজ আহম্মেদ তুহিন ও সুজন আহম্মেদ। কোষাধ্যক্ষের একটি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন মোঃ ইউসুফ আলী ও হাসান জহির মুকুল।
সংস্থায় সদস্য পদ রয়েছে ১৩টি। ১৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ২৩ জন। সদস্য প্রার্থীরা হলেন অধ্যাপক আহমেদুল কবীর চাইনিজ, মোঃ বেলাল হোসেন, ইমতিয়াজ হোসেন পিলু, এস ওয়াহিদুর রহমান বাবু, ইনামুল কবীর মন্নু, কাজী নূর মোহাম্মদ, এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, জেড এ মাহমুদ ডন, নাজমুস সাদাত সিদ্দিকি সুমন, ফরহাদ নেওয়াজ সিমু, ফয়সাল আহমেদ পপা, মোঃ আব্দুস সালাম ঢালী, মোঃ আবুল হোসেন আবুল, মোঃ ইয়াসিন খান, মনোয়ার আলী মনু, তরিকুল ইসলাম, মোঃ খায়রুল এহসান মানিক, মোঃ মনিরুজ্জামান মহসিন, মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শরীফ মোঃ বদরুজ্জামান মামুন ও শাহ আসিফ হোসেন রিংকু।
উপজেলার জন্য সংরক্ষিত দু’টি সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী চারজন। এই চার প্রার্থী হচ্ছেন কে এম ইকবাল হোসেন, খান নজরুল ইসলাম, মোঃ সিয়াবুদ্দিন ফিরোজ বুলু ও জামিল আখতার লেলিন।
মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত দু’টি পদের বিপরীতেও তিন প্রার্থী হলেন, ফারহানা আহমেদ, শাহনাজ ফাতোমা আজাদ চৌধুরী মৌরি ও হালিমা ইসলাম।