জেলা ও নগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন বর্জন করেছেন রওশন এরশাদপন্থী নেতা ও কর্মীরা। মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি সম্মেলন করার অধিকার নেই এবং নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা দিয়ে তারা সম্মেলন থেকে দূরে রয়েছেন। আগামী ২ মার্চ নগর শাখার এবং ৩ মার্চ জেলা শাখার সম্মেলন ডাকবাংলা মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় পার্টির নগর ও জেলা শাখার নেতৃত্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন খুলনায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। একে অপরের মুখ দেখাদেখি নেই। পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েই চলেছে। ২৬ নভেম্বর রওশনপন্থীদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে স্থানীয় নেতৃত্ব দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পরে। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাসের নেতৃত্বে রওশন এরশাদপন্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তার সাথে রয়েছেন নগর শাখার সদস্য সচিব মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল ও জেলা শাখার সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড. এস এম মাসুদুর রহমান। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা সভাপতি সফিকুল ইসলাম মধু ও সাধারণ সম্পাদক এম হাদিউজ্জামান।
স্থানীয় সূত্র বলেছেন, জেলা ও নগর সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনকে ঘিরে তেমন কোন জৌলুস নেই।
জেলা শাখার সদস্য সচিব এস এম মাসুদুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় সম্মেলনে যোগদানের ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা আসে নি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উচ্চ আদালতে মামলা শুনানির পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে পারে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি বলেছেন, ২ ও ৩ মার্চ পাল্টা কোন কর্মসূচি রওশনপন্থীরা নেবে না। তার দেয়া তথ্যমতে, দিধলিয়া ও তেরখাদা উপজেলা শাখা রওশন এরশাদপন্থীদের সমর্থন করেছে। উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অনুপস্থিত থাকলে জেলা সম্মেলন জৌলুস হারাবে।
জি এম কাদেরপন্থীর একটি সূত্র বলেছে, মহানগর শাখার সভাপতি পদে এ্যাড. মহানন্দ সরকার এই মুহূর্তে একক প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন লবিং এ এখনও এগিয়ে। জেলা শাখার সভাপতি পদে সফিকুল ইসলাম মধুর বিকল্প নেই। তার পছন্দের ওপর নির্ভর করবে জেলা শাখার নতুন সাধারণ সম্পাদক।