খুলনা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের চেম্বার সচিবালয় ঘেরাও এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তৈরি ‘শিক্ষার্থীদের মব’ নিয়ন্ত্রণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিচালনা পর্ষদের সব পরিচালকের পক্ষ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।’
সবার পক্ষ থেকে একজন পদত্যাগ করলে সব পরিচালকের পদত্যাগ কার্যকর হওয়া এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির এমন পদত্যাগে পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্তি হয়ে যাবে- এমন ধারা চেম্বার অব কমার্সের গঠনতন্ত্রে নেই।
তবে চেম্বারের অন্য কোনো পরিচালক এনিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চেম্বারের সচিব নূর রুখসানা বানু জানান, বেলা ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী চেম্বার সচিবালয়ে অবস্থান নিয়ে কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু কর্মচারীদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্তির ক্ষমতা নেই-জানালেও তারা শুনছিলেন না। দুপুর ২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শরীফ আতিয়ার রহমান চেম্বার সচিবালয়ে যান। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সবার পক্ষ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। পর্ষদও ভেঙে দিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১৫ বছর খুলনা চেম্বারের সভাপতি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক। পরিচালনা পর্ষদেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীর সংখ্যাই ছিল বেশি। গত জুলাই মাসে চিকিৎসার জন্য কাজী আমিনুল হক থাইল্যান্ডে যান। ৫ আগস্টের পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। তার অবর্তমানে সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ৪ মাস বিএনপি সমর্থিত পরিচালকরাই চেম্বার পরিচালনা করছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএজে