ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অন্যতম মিডিয়া হাউস খুলনা গেজেট তিন বছর পূর্ণ করে চার বছরে পদার্পণ করলো। একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিকে টেক্কা দিয়ে নিজেদের গুণগত উৎকর্ষকে তারা ফুটিয়ে তুলেছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, ফিচার, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, সাংস্কৃতিক খবর পরিবেশন করে। এটা কিন্তু খুব কম কথা নয়। কোথাও কোথাও সংবাদ মাধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে সত্য খবর পরিবেশন করার কারণে। সেদিক থেকে খুলনা গেজেট রণ পায়ে এগিয়ে চলেছে সাহসের উপর ভর করে।
এক কথায় বলা যায়, খুলনা গেজেট ভারত-বাংলাদেশের যেমন মিলন সেতু, তেমনি দুই বাংলার মিলন সেতু। উপমহাদেশের খবর, বিশ্ব-সংবাদ পরিবেশন, সঙ্গে দুই বাংলার সংবাদ পরিবেশনে এক উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে খুলনা গেজেট। খুলনা গেজেট পূর্ণমাত্রায় সচেতন যে, কলকাতা একটা ঐতিহ্যবাহী শহর। ভারত একটা সুবিশাল দেশ। তাই প্রতিবেশী দেশের খবরাখবর ও কলকাতার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সে খুব গুরুত্ব দেয়।
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ টি জেলার খবর কলকাতার পূর্বঙ্গ ওরিজিন বাঙালিদের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য। আবার বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় বা পশ্চিমবঙ্গ ওরিজিন বাঙালিদের কাছে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের চালচিত্র ও খবর খুবই আকর্ষণীয়। তাই বলা চলে অচিরেই খুলনা গেজেট উপমহাদেশের মিডিয়া জগতে তার একটি জায়গা করে নেবেই। ইতিমধ্যে নিয়েও ফেলেছে। বিনোদনমূলক খবরের ক্ষেত্রে ঢলিউড, বলিউড বা টলিউডকে মানুষ একসঙ্গে জানতে পারছে। খুলনা গেজেট মিডিয়া জগতের একটি বলিষ্ঠ অগ্রদূত। বলা যায় আরেকটি সংবাদ দিশারি তথা নবজাগরণ।
বিশ্বপুঁজি আজ মিডিয়া জগতকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে নতমস্তক মিডিয়া জগৎ। সেইরকম একটা সময়ে খুলনা গেজেট তার সাহসকে ভর করে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করছে, যা আমাদের কাছে অবাক করার মতো বিষয়। তাই খুলনা গেজেটের ব্যবস্থাপনা, এডিটোরিয়াল গ্রুপ, তার সাহসী সৈনিকদের, লড়াকু সৈনিকদের , সর্বোপরি তার ম্যানেজমেন্টকে অভিনন্দন জানাতেই হয়।
লেখক : কবি, সাংবাদিক ও গবেষক।
খুলনা গেজেট/এমএম