‘খুলনা গেজেট’র জন্মদিনে শুভেচ্ছা। অনলাইন পত্রিকাটি যখন যাত্রা শুরু করে, শুরুতেই নামটি দেখে খানিকটা চমকে উঠেছিলাম। ক্যালকাটা গেজেট, বোম্বে গেজেট নামে পত্রিকা ছিল, জানি। গতানুগতিক প্রচলিত সব নামের বাইরে গিয়ে খুলনা গেজেট নামটি দেখে ভেবেছিলাম, হয়তো খুলনার অনলাইন সংবাদপত্রের জগতে ব্যতিক্রম কিছু হবে এবার।
আবার ভেবেছি, অনলাইন প্লাটফর্মের সার্চ ইন্জিনগুলোতে ‘গেজেট’ বানানটি ইংরেজিতে লিখে অনেকেরই হয়তো পোর্টালটি খুঁজে বের করতে সমস্যা হবে। ক’দিন পরেই দেখলাম, আমার এই ধারণাটি সম্পূর্ণ অমূলক। পোর্টালটি অল্প সময়েই সার্চ ইঞ্জিনে এতো পাঠকের সার্চ এন্ড হিট পেয়েছে, যে পুরো নামটি লিখে খুঁজতে হচ্ছে না, অল্প একটু লিখলেই পুরো খুলনা গেজেট চলে আসছে।
অনলাইন পত্রিকাগুলোর কিছু র্যা ঙ্কিং থাকে। কিছুদিন পর দেখলাম, অ্যালেক্সা র্যাংকিং সহ অন্যান্য র্যাংকিংএ খুলনা গেজেট স্থানীয় শুধু নয়, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তখন বুঝলাম, খুলনা গেজেট নামের যে জাহাজটি সাগরে ভেসেছে, তার নাবিকেরা জানেন, কীভাবে জাহাজটি চালাতে হবে।
এবার আসি সংবাদের কথায়। ১৬ টি ডিপার্টমেন্ট একই পেজে। সবগুলোই খুব সমৃদ্ধ। খুলনা গেজেট পড়লে, প্রাত্যহিক সংবাদের জন্য ভিন্ন কোনো প্রিন্ট বা অনলাইন পত্রিকা পড়ার দরকার হয় না। যথাসম্ভব দ্রুত খুলনা গেজেটের সংবাদকর্মীরা সংবাদ আপলোড দেন। বিশেষ করে স্থানীয় সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। এটা তাদের বিশেষত্ব। এখনকার অনলাইন পোর্টাল মানেই জাতীয়, আন্তর্জাতিক, বিনোদন, খেলাধূলার সংবাদে ঠাসা একটি পৃষ্ঠা। খুলনা গেজেট ব্যতিক্রম।
বিশেষ দিবসগুলোতে খুলনা গেজেট যে আয়োজন বের করে, খুলনার আর কোনো পোর্টালে আগে কখনো দেখিনি। কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু নিয়ে খুলনা গেজেট এর সংবাদ আয়োজন সবাইকে মুগ্ধ করেছে, আমিও মুগ্ধ।
শুরু থেকেই আমি খুলনা গেজেট এর একজন পাঠক। পাঠক এবং একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি খুলনা গেজেট এর সফলতা কামনা করছি। খুলনা গেজেট এর সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারির প্রতি আমার শুভেচ্ছা। খুলনা গেজেট এগিয়ে যাক।
লেখক : গণমাধ্যম কর্মী
খুলনা গেজেট /এমএম/ এস আই