খুলনা গেজেটের সাথে আমার পরিচয় খুব বেশি দিনের নয়, মোটামুটি দু’মাসের একটু বেশি। এরই মধ্যে খুলনা গেজেট এর আমি নিয়মিত পাঠক। খুলনা গেজেটের সংবাদের কথা বাদ দিয়েও যদি বলি তবে এর মুক্ত ভাবনা, সোশ্যাল মিডিয়া, খেলা, চিকিৎসা, বিনোদন, লাইফ স্টাইল, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইসলাম ও জীবন, চিত্র বিচিত্র, আন্তর্জাতিক, আইটি, শিক্ষা ও ফটো গ্যালারী সকল বিষয় দৃশ্যমান। পাঠক তার পছন্দ মত যে কোন বিষয়ে নজর দিতে পারেন। সর্বোপরি একটি বিভাগীয় বা জেলাশহর থেকে যে একটা ভালো অনলাইন নিউজ পোর্টাল বের করা যায় তার প্রমাণ খুলনা গেজেট। সত্যিকার অর্থে খুলনা গেজেটে দৃষ্টি দিলে আপনাকে টিভি চ্যানেল বা অন্য কোন দৈনিকে নজর না দিলেও চলবে।
একটি মিডিয়া পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটতে দুই বছর খুব বেশি সময় নয়। কিন্তু আমি যতদূর আমার সিনিয়র ভাই বিশিষ্ট সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলমের মাধ্যমে জেনেছি, কর্তৃপক্ষের সঠিক দিক নিদের্শনায় খুলনা গেজেট জনগণের মন জয় করে এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে এর আগে যার পরিচালনায় খুলনা শহরে আরও দু’টি দৈনিক পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল।
একটা অনলাইন দৈনিক বলি আর যে কোন মিডিয়া বলি তার মালিক সম্পাদক বা প্রকাশক হোক না কেন, মূলত আসল মালিক জনগণ। জনগণ চায় তার চাহিদা মিডিয়া পরিপূর্ণভাবে মেটাবে। কিন্তু জনগণ যখন দেখে কোন মিডিয়া জনগণের কথা না বলে মালিক বা সম্পাদক অথবা তার আত্মীয় পরিজনের ছবি বা সংবাদ ছাপতে বা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেয় তখন জনগণ সেই মিডিয়া থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়।
আজকের ডিজিটাল যুগে ঘরে ঘরে সাংবাদিক। এটা বলছি এই কারণে যে, কোন ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ছবি ও সংবাদ ভাইরাল হয়ে যায়। সুতরাং কোন কিছু লুকানো সম্ভব নয়। এর মধ্যে দিয়ে একটা মিডিয়া বেঁচে থাকা কষ্টকর। সেদিক দিয়ে খুলনা গেজেট তার নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে চলেছে। আশাকরি আগামী দিনে খুলনা গেজেট আরও সম্প্রাসারিত হবে। শুভ কামনা রইল।
লেখক : গণমাধ্যম কর্মী
খুলনা গেজেট/এমএম