খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত
  খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সুমন মোল্লা নামের একজনকে গুলি করে হত্যা
  সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় : ডিএমপি
  মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি ৬ মে পুনর্নির্ধারণ

খুলনা-সাতক্ষীরায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও পুন:নির্মাণ সম্পন্ন (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুর্নিঝড় আম্ফানে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী শেষে হস্তান্তর অনুষ্ঠান আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ডাকবাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোল্লা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে সাইক্লোন আম্ফান। সাইক্লোন সিডরের পর এটি ছিলো দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ঘন্টায় ১৫০ কি.মি গতি সম্পন্ন এই সাইক্লোন দেশের ২৬টি জেলায় তান্ডব চালায়। প্রায় ২৬ লাখ মানুষ বাস্তহারা হয় এবং এই সাইক্লোনে ২৬ জন মানুষ মারা যায়। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ১১টি জায়গায় প্রায় ১০.৫৩ কি.মি বাঁধ ভেঙ্গে দুই লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বাঁধের পুন:নির্মাণকল্পে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার এর জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ শুরু করে। মহামারি করোনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণকে রক্ষায় এই পবিত্র দায়িত্ব চালিয়ে যায় এবং প্রকল্প সময় শেষ হবার আগেই কাজ শেষ করে।

শত ঝুকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ পুন:নির্মাণ এর কাজ শতভাগ সফলতার সাথে সর্ম্পূন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক ৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী মাসুদ মোঃ মাহেনুর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম তাহমিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা চাকলা পয়েন্ট পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২২ সালে শেষ হয়। নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় একশত ৪৫ কোটি টাকা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!