খুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (০৭ জুন) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর মেশিনে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এদিকে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (০৭ জুন) খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন- দিঘলিয়া উপজেলার রুমিছা খাতুন (৫১), মোংলার আঃ গণি শেখ (৭০), খুলনা সদরের সাবরিনা ইলিয়াস বিথি (১৯ )। এ নিয়ে খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুমেক পিসিআর ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর মেশিনে ৩৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৩১৫ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। এরমধ্যে ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১১৫ জন, বাগেরহাট ৮ জন, যশোর ৩ জন, সাতক্ষীরা ৩ জন, নড়াইল ১ জন ও মাগুরা জেলার ২ জন রয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, সোমবার সকালে করোনা হাসপাতালে ১১৯ জন রোগী। যার মধ্যে ৫৭ জন রেড জোনে, ২৫ জন ইয়োলো জোনে, এবং আইসিইউতে ১৯ জন ও এইচডিইউতে ছিলেন ১৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয় ৪১ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমিছা খাতুন (৫১) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার আঃ রহমানের স্ত্রী। ২৮ মে খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
রাত পোনে ৮টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঃ গণি শেখ (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি বাগেরহাট মোংলা গোয়ালীর মেট এলাকার মৃত সৈয়দ আলী শেখের ছেলে।
এদিন সকাল সাড়ে ৬টায় খুলনা সদর থানার শেরে বাংলা রোডের বাসিন্দা সাবরিনা ইলিয়াস বিথি (১৯ ) করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি গত ৪ জুন খুলনা করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালের আইসিইউতে থাকাবস্থায় করোনা পজেটিভ হন। পরে করোনা হাসপাতালের এইচডিইউতে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি/এমএম