খুলনায় পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে জেলা শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালির শখের খাবার হলো পিঠা। দেশে এমন মানুষ কমই আছে যারা পিঠা পছন্দ করে না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছিলো বাঙালির পিঠা, এই উৎসবের মাধ্যমে তা আবার ফিরে আসবে। বাঙালির এই পিঠার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। গত তিন বছর যাবত খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে পিঠা উৎসব হয়ে আসছে। পিঠা উৎসব আমাদের প্রাণের মেলায় পরিণত হবে বলে অতিথিরা আশা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবীর। জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সদস্য সচিব শামীমা সুলতানা শীলু। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বক্তৃতা করেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পাঁচ দিনব্যাপী পিঠা উৎসবে ৫০টি স্টলে তৈরি করা বিভিন্ন রকমের পিঠা বিক্রি ও প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এই পিঠা উৎসব সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া প্রতিদিন বিকাল থেকে নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য ও সংঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ