কালের বিবর্তনে মহাকালের পাতা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন ঐতিহ্যের হা-ডু-ডু খেলা। জাতীয় খেলাটিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে ‘মেয়র কাপ হা-ডু-ডু টুর্ণামেন্ট’। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় খালিশপুর প্রভাতী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে হা-ডু-ডু খেলা।
মেয়র কাপ হা-ডু-ডু টুর্ণামেন্টের বিষয়ে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে সংবাদিক সম্মেলন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
রবিবার (২০ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাচীন বাংলার জনপদে রয়েছে কিছু মৌলিক ও নিজস্ব সংস্কৃতি যা এ দেশের মানুষ হাজার বছর ধরে লালন করে আসছে। সংস্কৃতির এক অন্যতম শাখা হচ্ছে খেলাধুলা যা মানুষকে দেয় মানসিক প্রশান্তি ও শারীরিক সুস্থতা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা। আবহমান বাংলার বিভিন্ন জনপদে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নিজস্ব খেলাধুলা। যেমন-দাড়িয়া বান্ধা, কানামাছি, লাটিম, লুডু, হা-ডু-ডু ইত্যাদি। আধুনিকতার ছোয়ায় ও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ সকল খেলা। ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের প্রচলন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা আজ বিলুপ্তির পথে।
তিনি আরও বলেন, বাংলার রাখাল রাজা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে হা-ডু-ডু খেলাকে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাতীয় কাবাডি ফেডারেশন গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের খেলাটি আজ নতুন প্রজন্মের কাছে যেন অপরিচিত একটি খেলা। টুর্ণামেন্টের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী জাতীয় খেলাটিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই আমার এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করি।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আপনাদের আন্তরিক ও শক্তিশালী লেখার মাধ্যমে আবারও জাতীয় এই খেলাটি পেতে পারে তার নিজস্ব প্রাণ। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
খুলনা গেজেট/ এস আই