বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন রোববার খুলনা যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ছাড়তে শুরু করেছে। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা, বরিশাল, পিরোজপুরসহ আন্তঃজেলা রুটে প্রায় ২০টির মতো পরিবহন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মালিকরা। তবে দূর পাল্লার রুটের বিলাশবহুল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নগরীতে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক চলাচল অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে সড়ক পথে নিরাপত্তায় খুলনা মহানগরীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলোতে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
রোববার সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে গিয়ে গেছে, গত সপ্তাহের অবরোধের তুলনায় সড়কে বাস চলাচল বেড়েছে। বেড়েছে যাত্রী সংখ্যাও। সোনাডাঙ্গা থানার সামনে দাড়িয়ে ছিলো ঢাকা-খুলনা রুটের পরিবহন সেতু ডিলাক্স। বাসের টিকেট বিক্রেতারা সোহান জানান, ৪৫ আসনের বাসের ২০টি পূর্ণ হয়েছে। ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা বাস ছাড়বেন। সকাল ৮টায় বাসটি ছাড়ার সময় ৭০ ভাগ আসনই পরিপূর্ণ দেখা গেছে। বরিশাল, পিরোজপুর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন রুটের বাসও একই সময় ছেড়ে গেছে।
কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সোহাগ, ঈগল, গ্রীনলাইন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাসগুলোর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা রুটের টুঙ্গিপাড়া, ইমাদ, ফাল্গুনী পরিবহনের নন এসি বাস ভোর থেকে চলছে। তবে যাত্রী কম থাকায় বাসের সংখ্যা কমেছে।
আন্তঃ জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন রুটের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। সব রুটের বাসই চলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে নগরীতে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। আপাতত এক প্লাটুন বিজিবি রয়েছে, প্রয়োজন পড়লে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
খুলনা গেজেট/এইচ