মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে খুলনায় বিস্তরিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন ও বিএনপিসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন প্রতিষ্ঠান এসব কর্মসূচি দিয়েছে।
ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখা কর্মসূচি মধ্যে ২৪ মার্চ দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিটে নগরীর গল্লামারির বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। ২৫ মার্চ সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা। ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের পরপরই গল্লামারি স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান। সকাল ৯ টায় স্বাধীনতা দিবসের র্যালী, র্যালী শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দলীয় কার্যালয়ে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হবে।
স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান¡ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ।
জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচি অনুযায়ী ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রং এর পতাকা দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হবে।
সকাল আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একই স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, নৌ-স্কাউট, গার্লস গাইডের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, শিশু সমাবেশ, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সুবিধাজনক সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
২৬ মার্চ সকাল ১১টায় সিনেমা হলসমূহে ও উন্মুক্তস্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন/প্রামাণ্য চলচ্চিত্র/দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে।
ঐদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শন করা হবে। সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। ২৪ মার্চ উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইবেরিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা ও বির্তক প্রতিযোগিতা এবং ২৪ মার্চ সুবিধাজনক সময়ে শিশু একাডেমিতে শিশুদের রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
২৬ মার্চ বিকাল তিনটায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চ শহিদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিক্তিক চলচ্চিত্র/প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং খুলনার সকল পার্ক, জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘর শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, স. ম. আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, আব্দুর রাজ্জাক, বেগ তানভিরুল আজম, মুরশিদ কামাল, কে এম. হুমায়ূন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাজী মিজানুর রহমান, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির খান, আলমগীর হোসেন, মো.
জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি,আলী আক্কাস , মুজিবর রহমান, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, এমদাদ হোসেন, মো. আব্দুল ওহাব, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, শহীদ খান, মতলেবুর রহমান মিতুল মোড়ল, কে. এম. মাহাবুবুল আলম, শহিদুল ইসলাম, মাফিজুল ইসলাম, আলী হোসেন সানা, জি. এম মঈন উদ্দিন, ডা. আ. সালাম, হাসান আল মামুন বাপ্পি, আসাদুজ্জামান লিটন, রেজাউল আমিন সাবু, মাহাবুব উল্লাহ শামীম, মো. মেশকাত আলী, মজ্ঞুরুল আলম, এস এম মুরাদ হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম, সওগাতুল ইসলাম ছগির, মোঃ হুমায়ুন কবির চৌধুরি, মোঃ আসলাম হোসেন, এ. কে. এম সেলিম, মোঃ আমিন আহাম্মেদ, মো. শেখ মোস্তফা কামাল, মো. ইসলাম বিশ্বাস, তারিকুল ইসলাম বাকার, শাকারুল ইসলাম সুমন, মো. রিয়াজুল কবির, ডা. আ. হালিম মোড়ল, মো. নুর আলম নূরু, শেখ খায়রুল ইসলাম হিরু, মো. মাজেদুল হক (মাজেদ), মো. খবির উদ্দীন, মোঃ লিটন খান , আব্দুল মতিন বাচ্চু, জাহিদুর রহমান রিপন, ডা.শেখ আলতাফ হোসেন। যুবদলের সাইফুল ইসলাম সান্টু, নাসিমুল ইসলাম নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, নাসির উদ্দিন, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, তাঁতী দলের আবু সাঈ শেখ, ছাত্রদলের তাজিম বিশ্বাস, সৈয়দ ইমরান প্রমূখ।
সভায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৬ মার্চ সুর্য্যদ্বয়ের সাথে সাথে নগর বিএনপির কার্যালয়সহ নগরীর সকল কার্যালয়ে দলের ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। ওই দিন সকাল সাড়ে ৬টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ২টায় দলীয়
কার্যালয়ে “স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি