বিজেএমসি’র খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শংকর চন্দ্র ভূঁইয়াকে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহানগর দায়রা (বিশেষ) জজ আদালতে গুরুতর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ আগষ্ট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পাট পণ্যের ওজনে কারচুপি করে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২৯ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে মামলার আসামিরা প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলস’র ওয়েস্টেজ রোলের (বাতিল হওয়া পাটপণ্য) ওজনে ঘাটতি দেখিয়ে ১ হাজার ৫২৯ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন পাট পণ্য আত্মসাৎ করেন। যার মূল্য ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালে খালিশপুর থানায় প্লাটিনাম মিলের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করেন দুদক। ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট শংকর চন্দ্র ভুঁইয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার অন্য দুই আসামি বিজেএমসির মহাব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন এবং প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলস মিলের সাবেক ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) লিয়াকত হোসেন জামিনে রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/নাফি