দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে একেরপর এক রূঢ় ব্যবহার করায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হক এবং ১৫-ই আগস্টের শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করায় জেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ দিদার হোসেন ও তেরখাদা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দার বক্তৃতা করায় শোকজ করেছে জেলা বিএনপি। কেনো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব দিতে ৭দিনের সময় দেয়া হয়েছে তাদের।
পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- গত ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে পাইকগাছা থেকে খুলনায় বাসযোগে আসার সময় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ আব্দুর মজিদ এবং সিনিয়র নেতা আঃ মজিদ গোলদারের সাথে গাড়ীর ভিতর নেতা-কর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট কৃষকদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে নেতাকর্মীরা খুলনা শহরে আসলে ফেরীঘাট মোড়ে কৃষক দলের সভাপতি মেছের আলীকে নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ মারতে উদ্যত হন। এরআগে ১১ এপ্রিল পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি’র অফিসে সভা চলাকলীন মজিদ গোলদারকে একইভাবে অফিস থেকে বের করে দেন।
এছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মসূচীতে খুলনায় আসার পথে চাঁদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নানের সাথে গাড়ীর ভিতর একই আচরণ করেন। প্রতিটি ঘটনার পর নেতৃবৃন্দ এসএম এনামুল হককে মৌখিকভাবে সতর্ক করে আসছেন। বিএনপি’র দায়িত্বশীল পদে থেকে নেতাকর্মীদের সাথে একেরপর এক এরূপ আচরণ দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ। কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে ৭ দিনের মধ্যে খুলানা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক/ সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যা পূর্বক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলা বিএনপি’র অন্যতম সদস্য মোঃ দিদার হোসেন ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপির’র দায়িত্বশীল পদে থেকে এ রূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।
আবার, তেরখাদা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দার অনুরুপভাবে তার এলাকায় ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপির’র দায়িত্বশীল পদে থেকে এ রূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। কেনো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না এ মর্মে সাতদিনের মধ্যে খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।