পুলিশের উপস্থিতিতে কর্মসূচি পালনে বাঁধার পরেও খুলনায় প্রতিকী গণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার(২৪ মার্চ) কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়েন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নগরীর বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে মিছিল এলে কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীও কর্মসুচিতে যোগ দেন। প্রখর রোদের ভেতরে নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে অনশনে অংশ নেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে কর্মসূচি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
বক্তৃতায় তিনি পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছিল। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মানুষের পক্ষে, দেশের পক্ষে ছিল এ কর্মসূচি। কিন্ত পুলিশ স্টেজ ভেঙ্গে দিয়ে কর্মসূচি ভন্ডুল করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনার মানুষ ঐক্যবদ্ধ, অতীতে যার প্রমাণ রয়েছে। সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হলে তার পরিণতি ভালো হবেনা। আগামীতে একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নির্বাচন কালীন সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে সিনিয়র বিএনপি নেতা স ম আব্দুর রহমান অনশনরতদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গেন। এরপর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি বাঁদাগ্রস্ত ও পন্ড করতে পুলিশের ন্যাক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন আহবায়ক শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, আব্দুর রকিব মল্লিক, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, মাসুদ পারভেজ বাবু, এনামুল হক সজল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই