গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি খুলনা মহানরগর বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এ সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে প্যানা ছেড়া, স্টেজ ভাংচুর ও চেয়ায় তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, সারাদেশ ব্যাপী গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগর বিএনপি আজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। কর্মসূচি সফল করার জন্য নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিলসহকারে নেতৃবৃন্দ আসতে থাকে। সকাল পৌনে ১১ টার দিকে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুনের নেতৃত্ব কিছু সংখ্যক পুলিশ এসে সমাবেশ করা যাবেনা বলে নেতকর্মীদের জানান। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিক্ষোভ সমাবেশের প্যানা ছিড়ে ফেলে পুলিশ। এরপর সমাবেশ স্থলে নির্মিত স্টেজ ভাংচুর করে। নেতাকর্মীদের বসার চেয়ারগুলোও তারা নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে চলে যায়।
বিএনপি নগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য তার প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। তারা অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি সভাও করা হয়েছে। আজ সকাল পৌনে ১১ টার দিকে খুলনা থানার অফিসার ইনচর্জ এসে তাদের জানান, এখানে কোন সভা হবে না। তারা আমাদের স্টেজ ভাংচুর ও চেয়ার নিয়ে যায়। সমাবেশস্থল থেকে প্যানা ছিড়ে ফেলে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল সহকারে নেতৃবৃন্দ আসতে থাকলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি নিবন্ধিত দল। অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের সভা করার অধিকার আছে। ক্ষমাতসীন দল বিএনপিকে ভয় পায়। দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত তদের গায়ে জ¦ালা উঠছে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল হাসান দুলু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহুর্তে ক্ষমতাসীন সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। সভা সমাবেশ করার অধিকার আমাদের আছে। জনগণের ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা মাঠে থাকব তাতে যত বাঁধা আসুক। ভবিষ্যতে কোন সভা সমাবেশের জন্য তারা অনুমতির জন্য পুলিশের কাছে যাবেনা। বাঁধা আসলে মাঠে প্রতিহত করা হবে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপরে জানতে চেয়ে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।