বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে চ্যালেন্স হিসেবে গ্রহণ করে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের শক্তিই তৃণমূলের নেতাকর্মী তথা সংগঠন। এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে। এদেশের মানুষের সহযোগিতায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী। এই দুয়ের শক্তিতে বলিয়ান বলেই কেউ আওয়ামী লীগকে পেছনে ফেলতে পারেনা। সেকারনেই আওয়ামী লীগ আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। অদম্য স্পৃহায় বাংলাদেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। তারপরেও দেশ বিরোধী চক্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় খুলনায় শেরে বাংলা রোডস্থ বাসভবনে খুলনা মহানগর, জেলা, সদর ও সোনাডাঙ্গা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের শান্তি ও কল্যাণে কাজ করে। দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে হলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং সরকারে কল্যাণকর কাজে যারা ষড়যন্ত্র করে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে হবে।
তিনি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ডেন্টাল কলেজ, ক্যান্সার ইন্সটিটিউট, শেখ রাসেল আইসিটি পার্ক স্থাপন, স্কুল কলেজ সরকারিকরণ, পদ্মা সেতু, মধুমতি সেতু, বঙ্গবন্ধু টার্নেল নির্মান, মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ণ করা, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বরিশালে পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপন, ঢাকায় মেট্রোরেল, ফ্লাই ওভার নির্মানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভুতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে। একই সাথে কৃষিতে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশকে শিল্পায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ব্রডব্যান্ডের আওতায় এনে তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত দেশের প্রতিযোগিতায় আনা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র সহ প্রাকৃতিক এত দুর্যোগেও আল্লাহর রহমতে আমাদের কেউ থামিয়ে রাখতে পারে নি। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অদম্য স্পৃহায়। এসব উন্নয়নে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরছে। তারা নানা ধরনের মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। এদের মিথ্যাচারে কেউ কান দিবেন না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উন্নয়নের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। একই সাথে বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারকে তুলে ধরতে হবে। সেজন্যে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে তনয়া শেখ রেহানা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম।
এসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে প্রত্যেকটি ইউনিটকে পুর্নগঠন করার নিদের্শনা দেন।