বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, বিটিআরসি নিজে কোন ব্যবসা করে না।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে। এটি একটি শক্তিশালী সংগঠন। সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য ইন্টারনেট সেবাকে সকলের কাছে সহজলভ্য করে তোলা। দেশে ৯৮ শতাংশ এলাকায় ৪ জি সেবা চালু রয়েছে। বিটিআরসি’র শক্তিশালী ডাটাবেজ রয়েছে। কোন সিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়। এতে এনআইডি’র মাধ্যমে জানা যায় গ্রাহক কয়টি সিম ব্যবহার করছেন, আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে এটা বড় অগ্রগতি। সাইবার জগতে ক্রমবর্ধমান পর্নোগ্রাফি, জালিয়াতি ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি লংঘন ঠেকাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি সেল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ৫২.৮ মিলিয়ন ফেইসবুক ব্যবহারকারী আছেন। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি। তিনি শিশুদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইডেন্স সেবাটি বিনামূল্যে দেয়ার জন্য মোবাইল অপারেটরদের অনুরোধ জানান। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় কলড্রপ হলে টাকা ফেরৎ পাওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ সেবা বঞ্চিত হলে হেল্পলাইন ১০০ নম্বরে ফোন কল করে সরাসরি অভিযোগ করা যাবে। টেলিটক দেশের ৬টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ করছে। এটি প্রধানত উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহৃত হবে।
বিটিআরসি’র সুফল সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত সরকারকে ২৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে। বিটিআরসি’র সহযোগিতায় দেশের ছয়শত ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শতভাগ ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হয়েছে। এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই সেবার পেছনে যে মানুষটি কাজ করছেন তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টেলিযোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো: আব্দুর রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সুধীজন, বিটিসিএলসহ বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীরা অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড