খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

খুলনায় চালের লাগাম টেনেছে ‘বঙ্গবন্ধু মিনিকেট’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি-মার্চ চালের মূল্য উর্ধ্বগতি ঠেকাতে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানিকৃত চালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু মিনিকেটের পরিমান বেশী। নগরীর ২৬ বাজার দখল করেছে ভারতীয় চাল। দেশীয় চালের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। বঙ্গবন্ধু মিনিকেট কেজি প্রতি ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বাজারে নানা ধরনের চালের মূল্য বর্তমানে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৬২ টাকা।

বাজারমূল্য স্থিতি রাখতে সরকার বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির সুযোগ দেয়। খাদ্য অধিদপ্তরে আবেদনের পরিপেক্ষিতে যশোর ও খুলনার ১৪ জন ভারত থেকে চাল আমদানির সুযোগ পায়। বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে চালের ১ম ও ২য় চালান ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে এসেছে। আমদানিকারক এসএম কর্পোরেশনের মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর হাসান খুলনা গেজেটকে জানান, ভোমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে তাদের প্রথম চালান ১২শ’ মেট্রিক টন চাল বাজারে এসেছে। স্থল বন্দরে যানজট এবং বোরো কাটা শুরু হওয়ায় আমদানিকারকরা আমদানিতে আর উৎসাহ দেখাচ্ছে না।

স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা নুরজাহান কোম্পানীর স্বর্ণা, ব্লাকবেরি, বঙ্গবন্ধু, বিজয় ভোগ, লালবাগ, টেন এন্ড টেন, বিকে, কেবি, লক্ষীভোগ, সারদা ভোগ ও ইরি -২৮ জাতের চাল খুলনার বাজার দখল করেছে।

নিউ মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী মোঃ মোক্তার হোসেন খুলনা গেজেটকে জানান, তার দোকানে দেশী চাল তেমন একটা মজুদ নেই। তিনি আমাদানিকৃত এ চাল বড় বাজার, দৌলতপুর বাজার ও নওয়াপাড়া থেকে মজুদ করেছেন। দৌলতপুর, বৈকালী, শেখপাড়া, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজারে ভারতীয় চালের আমদানি বেশী।

বয়রা বাজারের ব্যবসায়ী সুরেশ ভান্ডারের জয় দাশ জানান, মূল্য কম হওয়ায় ভারতীয় চালের প্রতি মানুষের চাহিদা বেশী। লক ডাউনের কারনে বাজার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকায় বিকিকিনির পরিমাণ কম।

শেখপাড়া বাজারের তানিয়া রাইচ শপের মালিক মোঃ কাওছারুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, বাজারে ২০ প্রকারের চালের আমদানি। ভারত থেকে আসা ‘বঙ্গবন্ধু মিনিকেট’ চাল কেজি প্রতি ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মিনিকেটের তুলনায় বঙ্গবন্ধু মিনিকেট চালের দাম কম। তার দেওয়া তথ্য মতে, দেশী স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪২ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, টেন এন্ড টেন প্রতি কেজি ৪৮ টাকা লালবাগ নামের চাল ৪৮ টাকা, বালাম প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট প্রকার ভেদে ৫২, ৫৪, ৬০ ও ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে খুলনার বাজারে মোটা চাল কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪৩ টাকা ও মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। খোলা বাজারে মূল্য কমাতে ৫ জানুয়ারি থেকে নগরীর ২০ টি পয়েন্টে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ওএমএস’র মাধ্যমে এক মেট্রিক টন চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!